ব্যয়ের নীতিমালা
শরীয়াহসম্মত খাতে ব্যয় নিশ্চিতকরণ—
◼️ যাকাত, ফিতরা ও সদকা শুধুমাত্র শরীয়তসম্মত খাতে, যেমন—ফকির, মিসকিন, ঋণগ্রস্ত ইত্যাদি শ্রেণীর মাঝে বিতরণ করা হবে।
দাওয়াতি ও শিক্ষা কার্যক্রমে বরাদ্দ— ফাউন্ডেশনে আয়ের একটি অংশ নিম্নোক্ত শিক্ষা ও দাওয়াতি কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকবে:
◼️ ইসলামিক সেমিনার, তরবিয়াতি প্রশিক্ষণ ও হিফজ/কিতাব বিভাগ।
◼️ শিক্ষার্থীদের জন্য বই, উপকরণ ও বৃত্তি সহায়তা।
◼️ ডিজিটাল দাওয়াহ (অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম)।
মানবিক সহায়তা ও সমাজসেবা—
◼️ গরিব, এতিম, অসহায় ও বিপর্যস্ত পরিবারে ইফতার, কুরবানি, শিক্ষা উপকরণ, ওষুধ, চিকিৎসা সহায়তা, কাপড় বিতরণ ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যয় করা হবে।
স্বচ্ছ হিসাব রক্ষণ ও প্রতিবেদন তৈরি—
◼️ প্রতিটি অনুদানের পৃথক হিসাব রাখা হবে—যাকাত, সদকা ও সাধারণ দান আলাদা ভাবে সংরক্ষণ এবং ব্যয়ের রেকর্ড তৈরি।
◼️ সময়ভিত্তিক (মাসিক/ত্রৈমাসিক/বার্ষিক) হিসাব সদস্যদের সামনে উপস্থাপনযোগ্য রাখতে হবে।
সুবিধাভোগীদের যাচাই-বাছাই—
◼️ যাকাত/সদকার প্রকৃত হকদার বাছাইয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্বাধীন কমিটি গঠন।
◼️ সুবিধাভোগীদের পরিচয়পত্র ও যাচাইকৃত ডেটাবেজ সংরক্ষণ করা হবে যেন কারো হক মিস না হয়।
অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী খরচে নিষেধাজ্ঞা—
◼️ অর্থ কোনো প্রকার বিলাসী বা বাহুল্য খাতে ব্যয় করা যাবে না। (যেমন— বাহুল্যময় অনুষ্ঠান আয়োজন, অপ্রয়োজনীয় সাজসজ্জা ইত্যাদি)
প্রয়োজনে রিজার্ভ তহবিল রাখা—
◼️ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করার জন্য সীমিত পরিমাণ অর্থ ফাউন্ডেশনের নামে সংরক্ষণ রাখা যেতে পারে, তবে রিজার্ভের পরিমাণ ও ব্যবহার সদস্যদের অবহিতকরণ বাধ্যতামূলক।